চট্টগ্রাম, ১১ মে:
“বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ আজ আওয়ামী লীগকে আর দেখতে চায় না। কারণ বারবার তারা দেশের মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।”—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ডে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “জুলাই বিপ্লবে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার প্রেতাত্মারা এখনো সক্রিয়। যাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তারা ব্যর্থ হওয়ায় দেশে বারবার অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পর বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনে প্রথম সংস্কার করেছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন—সবক্ষেত্রে বিএনপির অবদান রয়েছে।”
বর্তমানে দেশে সংস্কারের কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই এ বিষয়ে রূপরেখা দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “দেশের গণতন্ত্র বিপন্ন করে কেউ কিছু করতে চাইলে তা সফল হবে না। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি রাজপথেই লড়াই করবে।”
পাঠ্যবই থেকে চট্টগ্রামের শহীদ ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম আকরামের নাম বাদ পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তা দ্রুত সংশোধনের দাবি জানান মির্জা ফখরুল।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “১৬ বছর ধরে জনগণের মালিকানা ফেরানোর জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা নিরলস সংগ্রাম করেছে। শেখ হাসিনার পলায়নের পর কেউ যদি গণতন্ত্র হরণ করতে চায়, তবে এখনই সতর্ক হওয়া উচিত।”
তিনি বলেন, “বিএনপির ৩১ দফার মধ্যে রয়েছে সংস্কারের স্পষ্ট দিকনির্দেশনা। আগামী নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করে তা বাস্তবায়ন করবে বিএনপি।”
সমাবেশে ছাত্রদলের শহীদ ওয়াসিমের স্মরণে গান পরিবেশনা করা হয়। সকাল থেকেই চট্টগ্রামসহ পার্বত্য ও আশপাশের জেলাগুলো থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হন। দুপুরের আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় বিশাল পলোগ্রাউন্ড মাঠ।
চমক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। বক্তব্যও দেন তিনি।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতারা মাহবুবের রহমান শামীম, মীর হেলাল, ছাত্রদলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও নাসির উদ্দিন নাসির প্রমুখ।