ভারতের আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজটির ২৪২ আরোহীর মধ্যে অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন একজন! তাঁর নাম বিশ্বাস কুমার রমেশ (৪০), তিনি যুক্তরাজ্যের নাগরিক। এই খবরে শোকের মধ্যেও আশার আলো দেখছেন অনেকে। বিশ্বাস কুমারকে গুরুতর আহত অবস্থায় আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সকল আরোহীর মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হয়েছিল। ✈️💔🙏
কী ঘটেছিল সেই ভয়াল মুহূর্তে?
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বেঁচে ফেরা বিশ্বাস কুমার সেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “উড়োজাহাজটি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের মাত্র ৩০ সেকেন্ড পরেই বিকট শব্দ হয়, এরপরই বিধ্বস্ত হয়। সবকিছু এত দ্রুত ঘটে গেল!” বিশ্বাস কুমারের বুকে, চোখে ও পায়ে গুরুতর আঘাত লেগেছে।
নিজের বোর্ডিং পাস দেখিয়ে তিনি আরও বলেন, “যখন উঠে দাঁড়ালাম, চারপাশে শুধু লাশ পড়ে ছিল। আমি ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ি; উঠে দাঁড়িয়ে দৌড় দিই। আমার চারপাশে উড়োজাহাজের ভাঙা টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। কেউ একজন আমাকে ধরে অ্যাম্বুলেন্সে তোলে এবং হাসপাতালে নিয়ে আসেন।” এই বর্ণনা শুনলেই গা শিউরে ওঠে! 😥
হারানো ভাইয়ের জন্য আকুতি:
বিশ্বাস কুমার রমেশ তাঁর ভাই অজয় কুমার রমেশের (৪৫) সাথে একই ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছিলেন। বিশ্বাস কুমারের আসন নম্বর ছিল ‘১১ এ’, তাঁর ভাই ছিলেন অন্য একটি সারিতে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিশ্বাস কুমার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “সে (ভাই) আমার সঙ্গেই যাত্রা করেছিল, এখন তাকে খুঁজে পাচ্ছি না। দয়া করে তাকে খুঁজে পেতে আমাকে সাহায্য করুন।” এই আকুতি যেন আকাশ-বাতাস ভারী করে তুলেছে।
ফ্লাইটের গন্তব্য ও যাত্রীদের পরিচয়:
এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজটি আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গেটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উড়োজাহাজটিতে মোট ২৩০ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং একজন কানাডিয়ান নাগরিক ছিলেন।
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় নিহত সকলের আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং আহত বিশ্বাস কুমারের দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য প্রার্থনা রইল। উদ্ধার অভিযান এবং তদন্ত এখনও চলছে। 🇮🇳🇬🇧💔