বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য এক “খুবই গুরুত্বপূর্ণ” বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে লন্ডনে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে এই ঐতিহাসিক বৈঠকটি হবে। এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক ভিডিও বার্তায়। এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা দেশের রাজনৈতিক মহল। 🤝🇬🇧
বৈঠকের প্রেক্ষাপট ও প্রস্তুতি:
প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে এই বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস তাঁর যুক্তরাজ্য সফরে এই হোটেলেই অবস্থান করছেন। বৈঠকের প্রস্তুতি হিসেবে বিএনপির একজন প্রতিনিধি বৃহস্পতিবার তাঁদের সাথে দেখা করেছেন বলেও জানান তিনি। শফিকুল আলম বলেন, “আমরা আশা করছি, কালকে নয়টার মধ্যেই ওনারা আসবেন। আসার পরে একটা ওয়ান টু ওয়ান মিটিং হবে।” তবে, বৈঠকে অন্য কেউ উপস্থিত থাকবেন কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমান।
কেন এই বৈঠক এত গুরুত্বপূর্ণ?
শফিকুল আলমের মতে, “এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠক বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের সামনের রাজনৈতিক বাস্তবতার জন্য।” তিনি আরও যোগ করেন, “সামনে নির্বাচনের একটি সময় দেওয়া হয়েছে এপ্রিলে, এই মিটিংটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” প্রেস সচিব আশা প্রকাশ করেন, এই বৈঠকে কোনো নির্দিষ্ট এজেন্ডা না থাকলেও, তাঁরা সকল বিষয়েই আলোচনা করবেন। কারণ, “তাঁরা একজন হচ্ছেন এখনকার ইন্টেরিম গভর্নমেন্টের প্রধান, আরেকজন হচ্ছেন বাংলাদেশের লার্জেস্ট পলিটিক্যাল পার্টির (সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল) প্রধান। তাঁদের দুজনের মধ্যে আলোচনা হবে এবং তাঁরা সবকিছু নিয়ে আলোচনা করবেন।”
রাজনৈতিক অঙ্গনে কৌতূহল:
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে উত্তাপ বিরাজ করছিল। ঈদের আগের দিন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের ঘোষণা দেন। তবে, ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি এখনো অটল। এমন এক পরিস্থিতিতে লন্ডনে এই দুই শীর্ষ নেতার বৈঠক রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক কৌতূহল ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই বৈঠকের ফলাফল কী হয়, এবং তা বাংলাদেশের আগামী দিনের রাজনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। 🤔⏳