তিন দফা দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিল সরকার, অনশন ভাঙালেন ইউজিসি চেয়ারম্যান; তবে কিছু শিক্ষার্থী রয়ে গেলেন অনড়
মূল প্রতিবেদন:
দীর্ঘ আন্দোলনের পর দাবি পূরণের আশ্বাসে অনশন ভেঙেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ কাকরাইল মোড়ে আন্দোলনরতদের মধ্যে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি সরকার মেনে নিয়েছে বলে জানান।
এ সময় তিনি নিজেই এক অনশনকারীকে পানি পান করিয়ে গণ–অনশন ভাঙান। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম আন্দোলনকারীদের সামনে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি জানান—
- বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বাড়ানো হচ্ছে,
- অস্থায়ী হল নির্মাণের কাজ দ্রুত শুরু হবে,
- এবং নতুন ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
এই ঘোষণার পর কিছু শিক্ষক–শিক্ষার্থী অনশন ভেঙে অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে আসেন। তবে বড় একটি অংশ এখনো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, দাবি বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ও সময়সূচি না দেওয়া পর্যন্ত তাঁরা অনশন চালিয়ে যাবেন।
তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে:
- ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি নিশ্চিত করা,
- পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদন,
- এবং দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন ও দ্রুত বাস্তবায়ন।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা লংমার্চ করে কাকরাইল পৌঁছালে গত বুধবার পুলিশ জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে প্রায় অর্ধশত শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহত হন।
তিন দিনের টানা অবস্থান কর্মসূচি ও গণ–অনশনের পর ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস এলে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দীন আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।
তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বড় অংশ এখনো বলছে— “আশ্বাস নয়, বাস্তবায়নের রূপরেখা চাই।”